ভারতীয় দর্শনে পঞ্চভূত অর্থাৎ ক্ষিতি,
অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম- এই পাঁচের সমষ্টিই এ জগৎ। রবীন্দ্রনাথ এই
পাঁচটি উপাদানকে নাম দিয়েছেন ক্ষিতি, স্রোতস্বিনী, দীপ্তি, সমীর ও ব্যোম। এই পাঁচ পাত্রপাত্রী মিলে
একটি তর্কসভা গড়ে তুলেছেন, যার কেন্দ্রে আছে ভূতনাথ। অর্থাৎ
রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং। এদের পারস্পরিক তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথ অত্যন্ত সুকৌশলে তাঁর নিজস্ব সহিত্যাদেশ
প্রকাশ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ জানতেন যে কাব্য বা সাহিত্য সম্পর্কে তাঁর অভিমত সকলেই বিনা প্রতিবাদে মেনে নেবে না। অনেকেই যুক্তিশূন্য ভাসমান মতামতে বাজার মাৎ করতে চাইবেন। এ কারণেই তিনি পঞ্চভূতে পক্ষের ও বিপক্ষের চরিত্র
সৃষ্টি করেছেন। এবং যুক্তি ও যুক্তির খণ্ডনের মধ্য দিয়ে নিজের মত প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া