পথের পাঁচালী যেখানে শেষ সেখান থেকেই শুরু ‘অপরাজিত’। নিশ্চিন্দিপুর থেকে শুরু হয় অপুর পথ চলা, বড় হওয়া। অপুর কৈশোর থেকে যৌবনের অবিরত উত্থান-পতনে অপরাজিত থাকার গল্প, একটা গোটা জীবনকে অপুর জানার আর শেখার গল্প বিভূতিভূষণের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘অপরাজিত’। পথের পাঁচালীর অপুকে বিভূতিভূষণ এনে ফেলেছেন আরো বড় প্রেক্ষাপটে। পিতার মৃত্যু, কলেজে ভর্তি হওয়া, কলেজ জীবনের নিদারুণ দারিদ্রের বিরুদ্ধে অবিরাম সংগ্রাম, মায়ের মৃত্যু, হঠাৎ বিবাহ, স্ত্রী অপর্ণার সাহচর্যে একটা ক্ষণস্থায়ী শান্তির সংসারের প্রয়াস এবং অপর্ণার আকস্মিক মৃত্যু- জীবন অপুকে সুখ আর বিষাদ দু’হাত ভরে দিয়েছে। এই সুখে বা বিষাদে অপু কখনও তাড়িয়ে তাড়িয়ে বাঁচতে চেয়েছে, কখনো জীবনের মায়ায় আটকে গিয়ে জীবনকে খুঁজে নিয়েছে।
অপরাজিত ‘প্রবাসী’ মাসিকপত্রে ১৩৩৬ সালের পৌষ সংখ্যা থেকে ১৩৩৮-এর আশ্বিন সংখ্যা পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। উপন্যাসের স্ফীতির কারণে দু’খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রথম ভাগের প্রকাশকাল মাঘ ১৩৩৮ (এপ্রিল ১৯৩২), দ্বিতীয় ভাগের প্রকাশকাল ফাল্গুন ১৩৩৮ (মে ১৯৩২)। ‘অপরাজিত’ সাময়িকপত্রে মুদ্রণের আগে লেখকের পরিকল্পিত নাম ছিল ‘আলোর সারথি’, কিন্তু ‘প্রবাসী’ তে ছাপানোর সময়েই শিরোনাম পরিবর্তন করে ‘অপরাজিত’ রেখেছিলেন।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া