গৌড়
বাংলার এককালীন রাজধানী এবং অধুনা ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি নগর যার অবস্থান বর্তমান
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। এটি লক্ষণাবতী বা লখনৌতি নামেও পরিচিত। মুসলমান-শাসন
প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে,
গৌড়মণ্ডলে সেনবংশীয় রাজাদের বিজয়-রাজ্য
প্রতিষ্ঠিত ছিল। তারও আগে পালবংশীয় রাজারা এ দেশের শাসন করেছেন। এ কথা ইতিহাস-বিমুখ বাঙালির একেবারেই অজানা নয়। অনেক জনশ্রুতি, কিংবদন্তিকে জুড়ে জুড়ে কল্পনাবিলাসী লেখকরা নানা সময়ে নানা গল্প কাহিনি লিখেছেন। কিন্তু কোন সময় থেকে, কোন ঘটনাচক্রে, পাল রাজাদের অভ্যুদয় হয়েছিল—
কবে, কিভাবে সেই রাজ্য সেন রাজাদের হস্তগত হল, আবার কালক্রমে হস্তচ্যুত হল— বাংলা ও বাঙলীর এই গৌরবময় ইতিহাস রচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল রাজশাহীর ‘বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি’র। ১৯১২ সালে ওই সমিতির পক্ষ থেকে নানা পুরাতন
তাম্রশাসন এবং শিলালিপি, পুরাতন স্থাপত্যের নিদর্শন, পুরাতন ভাস্কর্য্যের নিদর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস রচনা করেন রমাপ্রসাদ চন্দ্র। ‘গৌড়রাজমালা’ নামের এই বইটি ছিল বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির গৌড়-বিবরণ গ্রন্থমালার প্রথম বই।
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া