নাম তার বৈকুণ্ঠ। অচেনা কেউ পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে মাথা ঝুঁকিয়ে নমস্কার করে সে বলে, ‘আমি বৈকুণ্ঠ আজ্ঞে, হরিপালের পেলাম্বার।’
বৈকুণ্ঠ খুব গরিব। জলখাবারে এক সানকি মুড়ি, দুপুরে আর রাত্তিরে দু'মুঠো ভাত-ডাল-আলুসেদ্ধ – এর চেয়ে বেশি কিছু তার জোটে না। টাকা-পয়সা একেবারেই নেই বৈকুণ্ঠর, কিন্তু তার রয়েছে অন্য কিছু সম্পদ।
যেমন?
যন্ত্রপাতির একটি থলি, গুরুর কাছে শেখা বিদ্যেটুকু, নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা, নিজের হাত দুটোর উপর অগাধ আস্থা – এইসব আর কি!
আর?
আর রয়েছে চেনা-অচেনা সব মানুষ, রাস্তার কুকুর-বেড়াল, আকাশের পাখি-প্রজাপতি – সবার জন্য অসীম দরদ। এসব সম্পদ থাকলে আমাদের মধ্যে কতজনের জীবনই যে অন্যরকম হত!
যেসব বিচিত্র কাণ্ডকারখানা বৈকুণ্ঠ এতকাল ধরে ঘটিয়েছে, আর ঘটিয়ে চলেছে এখনও – অনেকের কাছেই তা অবিশ্বাস্য, আজগুবি মনে হতে পারে। কিন্তু আমি জানি, সেগুলো সব সত্যি। যেটা জানি না তা হল, এইসব সত্যি ঘটনাগুলো স্বপ্নে ঘটেছে, না বাস্তবে!
যেসব ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এখনও স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে দেওয়াল তুলতে শেখেনি, আর যেসব বয়স্ক মানুষগুলো শিখেও সেই দেওয়াল ভাঙতে চায়, তদের জন্যেই সাহস করে বৈকুণ্ঠ পেলাম্বারের গল্প লেখা।
এইসব গল্প প্রকাশিত হয়েছিল সন্দেশ, আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী আর কিশোর সমতট পত্রিকায়।
দারুণ
অনেক দিন পর একটি ভালো বই পড়লাম। খুব ভালো লেগেছে।
© 2022 All Rights Reserved by ketab-e | This website is owned by Bestread Publications and Digital Services Private Limited. Design By Mindmine and Developed By Technophilix.
বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া